আমরা জানি, মূসা (আ.) এর সাথে মহান আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ সম্পর্ক ছিলো। মূসা (আ.) একজন নবী ও ‘কালীমুল্লাহ’ বা আল্লাহর সাথে কথোপকথনকারী। যদিও প্রিয় নবী (সা.) মে‘রাজের রজনীতে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন। তথাপি দুনিয়াতে সরাসরি কথা বলার সৌভাগ্য একমাত্র হযরত মূসা (আ.)-এর হয়েছিল। আল্লাহ বলেন,
‘হে মূসা! আমি আমার বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে এবং আমার কথা বলার মাধ্যমে তোমাকে লোকদের উপরে বিশিষ্টতা দান করেছি। অতএব আমি তোমাকে যা কিছু দান করলাম, তা গ্রহণ করো এবং কৃতজ্ঞ থাকো’। (সূরা আ‘রাফ, আয়াত: ১৪৪)
মূসা (আ.) আল্লাহর কাছে এক বিশেষ দুআ উপহার চাইলেন, যার মাধ্যমে অস্থিরতা দূর হয়, শান্তি আসে। তিনি আসলে এমন একটি বিশেষ দুআ চাইছিলেন যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশী খুশী হবেন।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে শিখিয়ে দিলেন- ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’। মূসা (আ.) কিছুটা হতাশ হলেন, যেহেতু সব নবী ও মুমিনদের জন্য এটি ছিলো কালিমার সত্যায়ন।
পরবর্তীতে আল্লাহ প্রিয় মূসাকে জানিয়ে দিলেন , এটা শুধু পূর্ববর্তীদের শেখানো কোনো কালিমা নয়, বরং এই দুআ সাত আসমান ও যমীনের চেয়েও ভারী!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
আল্লাহর নবী নূহ (আ.) মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে তার সন্তানকে বলেছিলেন, আমি তোমাকে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর নির্দেশ করছি। নিশ্চই এক হাতে সাত আসমান ও সাত যমীন যদি রাখা হয়, আর অপর হাতে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়, তবে কালিমা বহনকারী হাতটি ভারী হবে। আর সাত আসমান ও যমীনকে যদি একটি রিং এর মতো করে তৈরি করা হতো, তবে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কালিমাটির মর্মের ভারত্ব সেটাকে ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হতো। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ৬৬৯৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
আমি এবং আমার পূর্বের নবীরা সর্বোত্তম যে কথাটি বলেছেন তা হচ্ছে- আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব এবং প্রশংসা তাঁর। তিনি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। (মুয়াত্তায়ে মালেক, হাদীস নং: ৪৪৯; সিলসিলাতুস সাহীহাহ, হাদীস নং: ১৫০৩)